ব্রেকিং:
রূপপুরে এলো আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ইকুইপমেন্ট রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের ছাদ থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু পাবনায় ভাতিজার ছুরিকাঘাত চাচা খুন ঈশ্বরদীতে সর্বোচ্চ বৃষ্টি, জলাবদ্ধতা চাটমোহরে জমি নিয়ে দ্বন্দ্বে যুবককে পিটিয়ে হত্যা পাবনায় ৫শ পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ গ্রেফতার-১ ঈশ্বরদীতে বিএনপির দুগ্রুপের সংঘর্ষ: বাড়ি ও অফিস ভাংচুর ঈশ্বরদীতে আওয়ামী লীগের ৭১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

বুধবার   ২৩ অক্টোবর ২০২৪   কার্তিক ৭ ১৪৩১   ১৯ রবিউস সানি ১৪৪৬

পাবনার খবর
সর্বশেষ:
রূপপুরে এলো আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ইকুইপমেন্ট রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের ছাদ থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু পাবনায় ভাতিজার ছুরিকাঘাত চাচা খুন ঈশ্বরদীতে সর্বোচ্চ বৃষ্টি, জলাবদ্ধতা চাটমোহরে জমি নিয়ে দ্বন্দ্বে যুবককে পিটিয়ে হত্যা পাবনায় ৫শ পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ গ্রেফতার-১ ঈশ্বরদীতে বিএনপির দুগ্রুপের সংঘর্ষ: বাড়ি ও অফিস ভাংচুর ঈশ্বরদীতে আওয়ামী লীগের ৭১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
১৫৭

শেখ হাসিনার ৫০০ কোটি ডলার আত্মসাৎ নিয়ে মুখ খুললেন রুশ রাষ্ট্রদূত

পাবনার খবর

প্রকাশিত: ২৫ আগস্ট ২০২৪  


রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে শেখ হাসিনা ৫০০ কোটি ডলার আত্মসাৎ করেছেন- এমন খবরটিকে গুজব এবং মিথ্যা বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকায় রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার ম্যান্টিটস্কি।

রোববার (২৫ আগস্ট) অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, ৫ বিলিয়ন ডলার একটি বড় অঙ্কের অর্থ, যেখানে প্রকল্পের কাজ এখনো চলমান সেখান থেকে এত বেশি অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার সুযোগ নেই। কেউ পাগল নয়, এতগুলো অর্থ দিয়ে দেবে। ইটস রিউমারস অ্যান্ড কমপ্লিটলি ফলস রিউমারস।

তিনি দাবি করেন, গত জানুয়ারিতে বাংলাদেশের সংসদ নির্বাচনের আগেই এই গুজবের প্লট তৈরি করা হয়েছিল।

রাষ্ট্রদূত আরও জানান, নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কথা হয়েছে। আগামীতে সব ধরনের আর্থিক এবং উন্নয়ন বাংলাদেশের পাশে থাকবে রাশিয়া।

এর আগে গত ১৭ আগস্ট গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ৫০০ কোটি ডলারের বেশি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে। প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা রোসাটম মালয়েশিয়ার একটি ব্যাংকের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে এ অর্থ আত্মসাতের সুযোগ করে দেয়। যাতে মধ্যস্থতা করেন ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয় ও ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিক।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, রাশিয়ার সহযোগিতায় বিদ্যুৎকেন্দ্রটির নির্মাণে খরচ ধরা হয় এক হাজার ২৬৫ কোটি ডলার। প্রয়োজনের তুলনায় যা অনেক বেশি। যাতে মালয়েশিয়ার একটি ব্যাংকের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে এই বাজেট থেকে ৫০০ কোটি ডলার আত্মসাতের সুযোগ করে দেয় প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা রোসাটম। নিজের ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিকের মধ্যস্থতায় রাশিয়ার সঙ্গে এ চুক্তি করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর এ মধ্যস্থতার বিনিময়ে পাচার করা অর্থের ৩০ শতাংশ পেয়েছেন টিউলিপ সিদ্দিক, শেখ রেহানা ও পরিবারের কয়েকজন সদস্য।

২০১৩ সালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে শেখ হাসিনার সাক্ষাতের সময় সঙ্গী ছিলেন টিউলিপ সিদ্দিক। গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পের দাবি, সেসময় ঢাকা-মস্কোর বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র চুক্তির মধ্যস্থতাও করেন তিনি।

২০০৯ সালে ‘প্রচ্ছায়া লিমিটেড’ নামে একটি ভুয়া কোম্পানি চালু করেন টিউলিপ সিদ্দিক, তার মা শেখ রেহানা ও চাচা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিক। যুক্তরাষ্ট্রেও জুমানা ইনভেস্টমেন্ট নামে একটি কোম্পানি রয়েছে তাদের।

গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পের অভিযোগ, এ কোম্পানির মাধ্যমেই বিভিন্ন দেশের অফশোর অ্যাকাউন্টে অর্থ পাচার করতেন শেখ হাসিনা। তাদের এ কোম্পানিটি ডেসটিনি গ্রুপ নামে একটি চিটিং ফান্ড কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত হয়ে যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশে প্রায় ৯০০ মিলিয়ন ডলার পাচার করেছে।

উল্লেখ্য, গ্লোবাল ডিফেন্স কর্প নামে পোর্টালটি ২০১৮ সালে চালু হয়। বিভিন্ন দেশের সামরিক ও প্রতিরক্ষা খাতে দুর্নীতির অনুসন্ধান করে থাকে তারা।

পাবনার খবর
এই বিভাগের আরো খবর